আবুধাবিতে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি যুবকের করুণ মৃত্যু

পরিবারের সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনার জন্য দেশ থেকে বিদেশে পাড়ি জমান প্রবাসী ভাইয়েরা। পরিবারের কথা চিন্তা করে নিজের দুঃখ কষ্ট ভূলে গিয়ে ঝুকিপূর্ন কাজ করে থাকে।সে প্রবাসী যদি লাশ হয়ে ফেরে তাহলে সেটা পরিবারের জন্য কতটা কষ্টের।এমনি এক হতভাগা বাংলাদেশী সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন।জানা গেছে

সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে সড়ক দুর্ঘটনায় আবদুল আহাদ সোহেল (২৬) নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন।গতকাল রোববার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় দুর্ঘটনায় আহত ওই যুবককে দুবাই হাসপাতালে নেয়ার পর তার মৃত্যু হয়।

নিহত আবদুল আহাদ সোহেল নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ডমুরুয়া ইউনিয়নের সাতবাড়ীয়া গ্রামের ফরায়েজী বাড়ির সফি উল্লার ছেলে। তিনি তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তৃতীয় ছিলেন। সোহেলের মৃত্যুর সংবাদে তার গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।

নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, পরিবারের সবার মুখে হাসি ফোটানোর জন্য ও জীবিকার সন্ধানে ২০০৮ সালে আশিক গফুর অ্যালুমিনিয়াম অ্যান্ড গ্লাস কোম্পানিতে চাকরি নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যান সোহেল। ২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে ছুটিতে দেশের বাড়ি এসে আবার ফিরে যান কর্মস্থলে।

রোববার কাজে যোগদানের জন্য সোহেল আবুধাবিতে তার বাসা থেকে কর্মস্থল সারজা পিকুরাং নামক স্থানে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হন। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

নিহত আবদুল আহাদ সোহেলের পারিবার আরও জানায়, আবদুল আহাদের মৃত লাশ আরব অমিরাতের পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। আবদুল আহাদ সোহেলের লাশ দেশে অতি দ্রুত আনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সরকারের কাছে সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছে নিহত সোহেলের পরিবার।

নিহত আবদুল আহাদ সোহেল নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ডমুরুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন প্রবাসী যুবকের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে বলেন।সোহেলের পরিবার আর্থিক ভাবে অতটা সচ্ছল না ।তাদের পক্ষে সোহেলের পরিবারের পক্ষে বাংলাদেশে লাশ আনার খরচ বহন করা কষ্ট সাধ্য হবে । সরকারের কছে সহযোগিতার কামনা করছে বলে জানা গেছে।